![]() |
itfiroz |
আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রকারভেদ
সম্পর্কে সম্পর্কে আলোচনা করব ইনশাহ আল্লাহ্ । মনে করেন, একজন এফিলিয়েট মার্কেটার কে তার কমিশন কিসের ভিত্তিতে দেওয়া
হবে তার ওপর নির্ভর করে এফিলিয়েট মার্কেটিং কে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়।
এটার প্রথম ভাগ হলো রেভিনিউ শেয়ারিং (revenue
sharing) যেটার অপর নাম হলো পে পার
সেল (Pay Per Sale সংক্ষেপে PPS)
এবং এরপরে দ্বিতীয় ভাগ হলো কস্ট পার একশন (cost
per action) বা সি পি এ (CPA)।
সবার শেষে রেভিনিউ শেয়ারিং (Revenue
Sharing)
এবার রেভিনিউ শেয়ারিং ব্যাপার টা কেমন সেটা
নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক । রেভিনিউ শেয়ারিং মডেলে একজন মার্চেন্ট ফিলিয়েট
মার্কেটিং মাধ্যমে যেটা আয় করে তার একটি অংশ এফিলিয়েট মার্কেটিং বা অন্যসবার
সাথে শেয়ার করে বলেই এটাকে বলে রেভিনিউ শেয়ারিং। মনে করুণ, একজন মার্চেন্ট এর একটি প্রোডাক্ট এর
দাম হল 500 টাকা। সে একজন এফিলিয়েটের কাছ থেকে একটি সেল পেল এবং তখন সে এই 500
টাকা থেকে 100 টাকা ওই এফিলিয়েটকে দিয়ে দিল। তাহলে এখানে
কি হল? মার্চেন্ট যে রেভিনিউ করছে তা থেকে তার এফিলিয়েটের সাথে শেয়ার
করছে। ব্যাপারটা ক্লিয়ার এখন?
সি পি এ (CPA) মার্কেটিং
এরপরে কস্ট পার একশন বা CPA মার্কেটিং
এ সরাসরি কোন রেভিনিউ শেয়ার করা হয় না বরং মার্চেন্ট এর বলে দেয়া অ্যাকশন এর
উপর নির্ভর করেই এফিলিয়েট কে কমিশন দেওয়া হয়। মনে করুণ, কোনো মার্চেন্ট বলল যে “আমার
জন্য যারা লিড জেনারেট করতে পারবে বা আমার এই ফর্মটা যারা পূরণ করাবে তারা একটি
নির্দিষ্ট অঙ্কের কমিশন পাবে তাহলে এটি হবে CPA মার্কেটিং। আশা
করি ক্লিয়ার । ফ্রিল্যান্সারে এমন অনেক প্রোজেক্টের সাথে অনেকেই পরিচিত আছেন হয়তো।
এখন CPA মার্কেটিং টা
অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় মনে হয়, কারণ এই পদ্ধতিতে এফিলিয়েট কে কোন
প্রোডাক্ট সেল করতে হয় না বরং যেকোনো একটি অ্যাকশনের কমপ্লিট করলেই সে কমিশন পেতে
পারে। তবে রেভিনিউ শেয়ারিং মডেলে অনেক বেশি কমিশন পাওয়া যায়। অনেক মার্চেন্ট
রেভিনিউ শেয়ারিং ও সিপিএ উভয় পদ্ধতিতে তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম পরিচালনা করে
যেমনঃ কেউ যদি আমার দেওয়া কোনো লিংক থেকে একাউন্ট করে তাহলে আমি যেটা পাবো এটিই
হলো সিপিএ মার্কেটিং । আবার এফিলিয়েট কে
কতবার কমিশন দেয়া হবে তার ওপর নির্ভর করে এফিলিয়েট মার্কেটিং কে দুই ভাগে ভাগ
করা যায় আর তা হলোঃ
সিঙ্গেল টায়ার এবং
টু টায়ার বা মাল্টি টায়ার।
চলুন এবার সিঙ্গেল টায়ার এবং টুটায়ার বা মাল্টি
টায়ার নিয়ে আলোচনা করা যাকঃ
সিঙ্গেল টায়ার (Single-Tier)
সিঙ্গেল টায়ার এফিলিয়েট মার্কেটিং এ
মার্চেন্ট তার এফিলিয়েটকে প্রতিটি সেলের জন্য মাত্র একবারই কমিশন দেয়। যেমমঃ মনে
করেন গ্রামারলি এফিলিয়েট প্রতিটি সেল করতে পারলে ২০ ডলার দেয় আর এটি হলো সিঙ্গেল
টায়ার।
টু টায়ার (Two-Tier) বা মাল্টি
টায়ার (Multi-Tier)
টু টায়ার (Two-Tier) বা মাল্টি
টায়ার (Multi-Tier) এই ধরনের মডেলে একজন এফিলিয়েট তার মাধ্যমে আনা
গ্রাহকদের প্রত্যেকের সেল থেকেও কমিশন পান। মনে করেন, কার্তিক একজন
এফিলিয়েটর যিনি আবুল ও বাবুল কে কোন এক
মার্চেন্টের প্রোগ্রামে যুক্ত করল। এখন আবুল ও বাবুল এর প্রতিটি সেলেও কার্তিক
একটি কমিশন পেতে থাকবেন। এই মডেলটা অনেকটাই এম
এল এম (MML) সিস্টেমের মত হলেও মার্চেন্টের মানসম্মত
প্রোডাক্ট থাকার ফলে এখানে কোন প্রতারণা নেই। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ।
লেখাটা পড়ে যদি উপকৃত হন তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না । সবাইকে ধন্যবাদ, দেখা
হবে আগামী কোনো পোস্টে । ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন ।